৪জি এবং ৫জি প্রযুক্তির মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা নেটওয়ার্কের গতি, ব্যান্ডউইথ, ল্যাটেন্সি, এবং সংযোগের ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। নিচে ৪জি এবং ৫জি এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:
বৈশিষ্ট্য | ৪জি | ৫জি |
গতি (Speed) | সর্বাধিক ১ Gbps (ডাউনলোড স্পিড) | সর্বাধিক ২০ Gbps (ডাউনলোড স্পিড) |
ল্যাটেন্সি (Latency) | ২০-৩০ মিলিসেকেন্ড | ১ মিলিসেকেন্ডের নিচে |
ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) | সীমিত (১০০ MHz এর মধ্যে) | অনেক বেশি (১ GHz পর্যন্ত) |
ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড (Frequency Bands) | ৬০০ MHz থেকে ২.৫ GHz | Sub-6 GHz এবং মিলিমিটার ওয়েভ (২৪-১০০ GHz) |
সংযোগের ঘনত্ব (Connection Density) | প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ লক্ষ ডিভাইস | প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ মিলিয়ন ডিভাইস |
মোবিলিটি (Mobility) | ৩৫০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত | ৫০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত |
শক্তি দক্ষতা (Energy Efficiency) | সীমিত | অনেক বেশি শক্তি সাশ্রয়ী |
নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি (Network Capacity) | সীমিত (ডেটা ট্রান্সমিশন এবং ব্যবহারকারী সংখ্যা) | অনেক বেশি (প্রচুর ডিভাইস ও ডেটা ট্রান্সমিশন) |
নেটওয়ার্ক স্লাইসিং (Network Slicing) | নেই | নেটওয়ার্ক স্লাইসিং প্রযুক্তি সমর্থন করে, যা নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন বা পরিষেবার জন্য ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে |
এমআইএমও (MIMO) | সীমিত (কম সংখ্যক অ্যান্টেনা) | উন্নত MIMO প্রযুক্তি, যা একই সাথে একাধিক ডেটা স্ট্রিম সংযোগ করতে পারে |
নির্ভরযোগ্যতা (Reliability) | নির্ভরযোগ্য কিন্তু উচ্চ প্রান্তিক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত নয় | ৯৯.৯৯৯% নির্ভরযোগ্যতা, যা ক্রিটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন, যেমন স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পখাতে গুরুত্বপূর্ণ |
কেন ৫জি ইন্টারনেট আপনাকে সুপারফাস্ট অভিজ্ঞতা প্রদান করবে?
৪জি এবং ৫জি এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো বিশ্লেষণ
গতি: ৫জি এর গতি ৪জি থেকে অনেক বেশি। ৪জি নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ডাউনলোড গতি ১ Gbps হলেও, ৫জি তে এই গতি ২০ Gbps পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
ল্যাটেন্সি: ৪জি তে ল্যাটেন্সি প্রায় ২০-৩০ মিলিসেকেন্ড, যা রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য যথেষ্ট নয়। তবে ৫জি তে ল্যাটেন্সি ১ মিলিসেকেন্ডের নিচে, যা অত্যন্ত দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য।
ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড: ৪জি সাধারণত ৬০০ MHz থেকে ২.৫ GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে। অন্যদিকে, ৫জি তে Sub-6 GHz এবং মিলিমিটার ওয়েভ (২৪-১০০ GHz) ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়, যা অনেক বেশি গতি এবং ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে।
সংযোগের ঘনত্ব: ৫জি প্রযুক্তি প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১ মিলিয়ন ডিভাইস সংযোগ করতে পারে, যা ৪জি এর তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি।
ব্যবহার ক্ষেত্র: ৪জি সাধারণত মোবাইল ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ৫জি প্রযুক্তি ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT), স্মার্ট সিটি, অটোনোমাস ভেহিকল, রিমোট সার্জারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কার্যকর।
নেটওয়ার্ক স্লাইসিং: ৫জি এর নেটওয়ার্ক স্লাইসিং সুবিধার মাধ্যমে একই ফিজিক্যাল নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব, যা ৪জি তে নেই।
৫জি এর প্রযুক্তিগত উন্নতি ৪জি এর তুলনায় অনেক বেশি এবং এটি নেটওয়ার্কের গতি, ল্যাটেন্সি এবং সংযোগের ক্ষমতায় বিপ্লব আনবে।