বাংলাদেশে ওয়াকিটকি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যা জানা অত্যন্ত জরুরী

ওয়াকিটকি লাইসেন্স

ওয়াকিটকি কি ?

ওয়াকিটকি (Walki Talkie), যা হ্যান্ডহেল্ড ট্রান্সসিভার নামেও পরিচিত, যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী ডিভাইস। এটি VHF এবং UHF ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। বাংলাদেশে ওয়াকিটকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন নির্মাণ সাইট, নিরাপত্তা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে, বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এখানে আমরা সেই প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ধাপগুলো আলোচনা করবো।

বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন প্রয়োজন কেন?

ওয়াকিটকি ডিভাইসগুলি সাধারণত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে যা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এই ফ্রিকোয়েন্সিগুলি নিরাপত্তা, জরুরি সেবা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। তাই, অননুমোদিত ওয়াকিটকি ব্যবহার করলে তা জরুরি পরিষেবাগুলিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আইন লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে। এজন্য বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

ওয়াকিটকির প্রকারভেদ

ওয়াকিটকি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেগুলি তাদের ব্যবহারের উদ্দেশ্য, ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, এবং প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। নিচে প্রধান ধরনের ওয়াকিটকির বিবরণ দেওয়া হলো:

ক. ভিএইচএফ (VHF) ওয়াকিটকি ফ্রিকোয়েন্সি

ফ্রিকোয়েন্সি : যদিও তাত্বিকভাবে ভিএইচএফ ফ্রিকোয়েন্সি পরিসর ৩০ থেকে ৩০০ মেগাহার্জ (MHz); কিন্তু এই ধরনের ওয়াকিটকি সাধারণত ১৩৬ থেকে ১৭৪ মেগাহার্জ (MHz) পর্যন্ত রেঞ্জের হয়ে থাকে।

ব্যবহার: খোলা স্থান, নির্মাণ সাইট, গ্রামীণ এলাকা এবং জঙ্গলের মতো জায়গায় ব্যবহার করা হয়। এই ওয়াকিটকিগুলি দীর্ঘ দূরত্বে যোগাযোগ করতে সক্ষম, কিন্তু শহুরে এলাকায় বা বহুতল ভবনের মধ্যে কার্যকারিতা কমে যায়।

বৈশিষ্ট্য: দীর্ঘ দূরত্বের জন্য কার্যকর, তবে সংকেত দেওয়ার সময় বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে সমস্যা হতে পারে।

খ. ইউএইচএফ (UHF) ওয়াকিটকি ফ্রিকোয়েন্সি

ফ্রিকোয়েন্সি : যদিও তাত্বিকভাবে ভিএইচএফ ফ্রিকোয়েন্সি পরিসর ৩০০ মেগাহার্জ (MHz) থেকে ৩ গিগাহার্জ (GHz); কিন্তু এই ধরনের ওয়াকিটকি সাধারণত ৪০০ থেকে ৫১২ মেগাহার্জ (MHz) পর্যন্ত রেঞ্জের হয়ে থাকে।

ব্যবহার : শহুরে এলাকা, বড় ভবন, শপিং মল, এবং অন্যান্য ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার করা হয়। ইউএইচএফ ওয়াকিটকিগুলি সংকীর্ণ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে, যা বাধা বা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখে।

বৈশিষ্ট্য : অধিক ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় কার্যকর, ভবনের ভিতরে এবং বাইরের উভয় ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।

বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের নিয়ম বা ওয়াকিটকি লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ধাপসমূহ:

বর্তমানে বিটিআরসি থেকে (০২) দুই ধরনের ওয়াকিটকির লাইসেন্স এবং ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।

লাইসেন্স ব্যান্ডের ওয়াকিটকি : এই ধরনের ওয়াকিটকিকে পিএমআর (PMR) ব্যান্ডের ওয়াকিটকিও বলা হয়ে থাকে। PMR এর পূর্ণরূপ Private Mobile Radio। এটি ব্যবহারের জন্য বিটিআরসি থেকে VHF এবং/অথবা UHF ব্যান্ডে ওয়াকিটকি ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ নিতে হয়। এটি একটি স্বতন্ত্র তরঙ্গ, শুধুমাত্র যে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হবে, ঐ প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য প্রতিষ্ঠান ঐ নির্দিষ্ট তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে না। এই তরঙ্গ ব্যবহার করার জন্য বাৎসরিক চার্জ প্রদান করতে হয়।

সাধারণত বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বড় বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট/ফ্যাক্টরী ইত্যাদিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন প্রদান করা হয়।

লাইসেন্স বা পিএমআর ব্যান্ডের ওয়াকিটকি লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া

১. নিম্নোক্ত কাগজ-পত্রাদি সংযুক্তি সহ চেয়ারম্যান, বিটিআরসি বরাবর আবেদন করতে হবেঃ

  • সংস্থা/কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে সংস্থা/কোম্পানীর প্রধানকে আবেদন করতে হবে।
  • বেতার যন্ত্রের দরখাস্ত ফর্মের ফি ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং দরখাস্ত প্রক্রিয়া করনের ফি ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা + ১৫% ভ্যাট, অর্থাৎ সর্বমোট ৬,৩২৫/- (ছয় হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অনুকলে পে-অর্ডার/ডিডি এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে (এইটা অফেরৎ যোগ্য)।
  • বিটিআরসি’র নির্ধারিত দরখাস্ত ফরমটি পূরণ করে জমা প্রদান করতে হবে। ওয়াকিটকি লাইসেন্স আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন
  • আবেদনকৃত বেতার যন্ত্রের বুকলেট/ব্রুশিয়রের (জেনারেল স্পেসিফিকেশান্স) কপি।
  • বেতার যন্ত্র ব্যবহারের নেটওয়ার্ক প্ল্যান।
  • হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের কপি, আয়কর প্রত্যয়ন পত্র, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি (সরকারি সংস্থার জন্য প্রযোজ্য নয়)।

২. কাগজ-পত্রাদি সঠিক অনুমেয় হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ওয়াকিটকি ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গ বরাদ্দ প্রদান করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট কমিটি (SMC)-এর সভায় উপস্থাপন করা হয়।

৩. SMC সভায় তরঙ্গ বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদিত হলে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী’র নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়।

৪. সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সন্তোষজনক হলে তরঙ্গ এবং ওয়াকিটকি ব্যবহারের চার্জ বাবদ ডিমান্ড নোট জারি করা হয়।

৫. ডিমান্ড নোটের রাজস্ব পরিশোধ করলে বিটিআরসি থেকে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তরঙ্গ বরাদ্দ এবং ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ওয়াকিটকি ব্যবহারের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর তরঙ্গ এবং ওয়াকিটকি ব্যবহারের চার্জ বাবদ ডিমান্ড নোট বিটিআরসি থেকে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।

এই অংশে আমরা আলোচনা করবো SBR ব্যান্ড বা আনলাইসেন্সড (Unlicensed) ব্যান্ডের ওয়াকিটকি’র অনুমোদন প্রক্রিয়াঃ

আনলাইসেন্সড (Unlicensed) ব্যান্ডের বা (SBR) এসবিআর ওয়াকিটকি

এই ব্যান্ডের ওয়াকিটকিকে সাধারণত SBR ব্যান্ডের ওয়াকিটকি বলা হয়ে থাকে। SBR এর পূর্ণ অর্থ হলো : Short Business Radio । এটি স্বল্প দূরত্বে (৭০০-৮০০ মিটার, বিশেষ ক্ষেত্রে ফাঁকা জায়গায় ১ কিঃমিঃ পর্যন্ত যেতে পারে) যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন : বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, গার্মেন্টস, নির্মাণ সাইট, ছোট প্রতিষ্ঠান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদিতে ব্যবহারের জন্য।  

এসবিআর ব্যান্ডের ওয়াকিটকি’র তরঙ্গ = ২৪৫-২৪৬ মেগাহার্জ ; এবং সর্বোচ্চ পাওয়ার আউটপুট = ১ ওয়াট।

উল্লেখ্য, এই ব্যান্ডের ওয়াকিটকি’র তরঙ্গ শেয়ার্ড বেসিস ব্যবহার করতে হবে এবং এই তরঙ্গ ব্যবহারের জন্য কোন প্রকার চার্জ প্রদান করতে হয় না।

এসবিআর ব্যান্ডের ওয়াকিটকি এর চার্জ

প্রতি বছর প্রতিটি ওয়াকিটকির জন্য ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ওয়াকিটকির লাইসেন্স ফি এর জন্য ১০০/- (একশত) টাকা এবং ১৫% ভ্যাট প্রদান করতে হবে।

অর্থাৎ ০১ টি ওয়াকিটকির ০১ বছরের চার্জ হবে সর্বমোট ৬৯০/- (ছয়শত নব্বই) টাকা।

SBR ব্যান্ড ওয়াকিটকি ওয়াকিটকি লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া

১. নিম্নোক্ত কাগজ-পত্রাদি সংযুক্তি সহ চেয়ারম্যান, বিটিআরসি বরাবর আবেদন করতে হবেঃ

  • সংস্থা/কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে সংস্থা/কোম্পানীর প্রধানকে আবেদন করতে হবে।
  • বেতার যন্ত্রের দরখাস্ত ফর্মের ফি ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং দরখাস্ত প্রক্রিয়া করনের ফি ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা + ১৫% ভ্যাট, অর্থাৎ সর্বমোট ৬,৩২৫/- (ছয় হাজার তিনশত পঁচিশ) টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অনুকলে পে-অর্ডার/ডিডি এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে (এইটা অফেরৎ যোগ্য)।
  • বিটিআরসি’র নির্ধারিত দরখাস্ত ফরমটি পূরণ করে জমা প্রদান করতে হবে। ওয়াকিটকি লাইসেন্স আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন
  • বেতার যন্ত্র ব্যবহারের নেটওয়ার্ক প্ল্যান।
  • হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের কপি, আয়কর প্রত্যয়ন পত্র, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি।
  • কালো রঙের ওয়াকি-টকি সেট আমদানি ও ব্যবহার করা যাবেনা বিধায় কালো ব্যাতিত অন্য কোন রঙের বুকলেট/ব্রুশিয়রের (জেনারেল স্পেসিফিকেশান্স) জমা দিতে হবে (রঙিন প্রিন্ট)।
  • কালো রঙের ওয়াকি-টকি সেট আমদানি ও ব্যবহার করবেনা মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে।

২. কাগজ-পত্রাদি সঠিক অনুমেয় হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ওয়াকিটকি ব্যবহারের চার্জ বাবদ ডিমান্ড নোট জারি করা হয়।

৩. ডিমান্ড নোটের রাজস্ব পরিশোধ করলে বিটিআরসি থেকে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়। এছাড়াও, ওয়াকিটকি ব্যবহারের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর ওয়াকিটকি ব্যবহারের চার্জ বাবদ ডিমান্ড নোট বিটিআরসি থেকে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।

পিএমআর এবং এসবিআর ব্যান্ডের ওয়াকিটকি এর পার্থক্য

বিষয়বস্তুপিএমআরএসবিআর
ফ্রিকোয়েন্সি১৩৬-১৭৪ মেগাহার্জ (ভিএইচএফ)
৪০০-৫১২ মেগাহার্জ (ইউএইচএফ)
২৪৫-২৪৬ মেগাহার্জ
পাওয়ার আউটপুটসাধারণত ৫ ওয়াটসর্বোচ্চ ১ ওয়াট
ফ্রিকোয়েন্সি চার্জআছেনাই
সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সআছেনাই
ওয়াকিটকির রঙযে কোন রঙকালো ব্যতীত
লাইসেন্স প্রাপ্তির সময়বেশিকম

ওয়াকিটকি লাইসেন্সের সময় কত প্রয়োজন ?

লাইসেন্স বা পিএমআর ব্যান্ড ওয়াকিটকি লাইসেন্স : বিটিআরসি’র সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী ৬০ দিন।

SBR ব্যান্ড ওয়াকিটকি লাইসেন্স : বিটিআরসি’র সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী ০৫ দিন।

ওয়াকিটকি দাম কত ?

সবই তো বুঝলাম, কিন্তু ওয়াকিটকির দাম কত ? উত্তর হলো ওয়াকিটকি সাধারণত বিভিন্ন ফিচার সম্বলিত হয়। যেমন : এনালগ, ডিজিটাল, এফএম রেডিও সম্বলিত, জিপিএস সম্বলিত ইত্যাদি। তবে এটি ব্র্যান্ড, মডেল, ফিচারের উপর ভিত্তি করে ৩,০০০-১৫,০০০/- এর মধ্যে হয়ে থাকে।

সতর্কতা

ক. মনে রাখতে হবে ওয়াকিটকি দেশের কোন দোকান থেকে ক্রয় করা যাবে না। এইভাবে ক্রয়কৃত ওয়াকিটকি অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।

খ. ওয়াকিটকি নিজে বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারবেন অথবা ওয়ার্ক অর্ডার (Work Order) প্রদানের মাধ্যমে বিটিআরসি’র তালিকাভূক্ত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানি করতে হবে।

গ. আমদানি করার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিটিআরসি থেকে নিতে হবে। তাহলেই সেইটা কেবলমাত্র আমাদনি করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হবে।

ঘ. ওয়াকিটকি ভাড়া হিসেবে নিয়ে ব্যবহার করাও অবৈধ।

ঙ. ওয়াকিটকি ব্যবহার করার সময় ফ্রিকোয়েন্সি সংক্রান্ত সকল নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হবে।

চ. যদি কোনো পরিবর্তন বা নতুন ডিভাইস যোগ করতে হয়, তাহলে সেটির জন্য নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে।

অনুমোদন ব্যতীত ওয়াকিটকি ব্যবহারের ঝুঁকি

অনুমোদন ব্যতীত ওয়াকিটকি ব্যবহার করলে আইনি পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হতে পারে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি’র অনুমোদন ব্যতীত ওয়াকিটকি সহ যেকোন বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ। বিটিআরসি বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করতে পারে এবং জরিমানাও করতে পারে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বিটিআরসি থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।

উপসংহার

বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য বিটিআরসি থেকে যথাযথ অনুমোদন গ্রহণ করা অপরিহার্য। এটি শুধুমাত্র আইনের পরিপালন নয়, বরং জরুরি পরিষেবা এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সুরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে বিটিআরসি থেকে অনুমোদন গ্রহণ করুন এবং নিয়ম মেনে ওয়াকিটকি ব্যবহার করুন।

Leave a Comment

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না। প্রয়োজনীয় ফিল্ডগুলো * চিহ্নিত।

Scroll to Top