৫জি বা 5G ইংরেজিতে Fifth Generation হলো পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য মোবাইল নেটওয়ার্ক। ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক ৪জি’র তুলনায় ১০০ গুণ পর্যন্ত বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন। ৫জি এর মাধ্যমে বর্তমানের ৪জি এর সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে আমরা অধিকতর স্মার্ট, নিরাপদ এবং টেকসই সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ করতে পারি।
মোবাইল নেটওয়ার্ক বিবর্তনের ইতিহাস
উপরের চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ১৯৮০ সালের দিকে ১জি চালু হয়। এরপর প্রতি ১০ বছর অন্তর মোবাইল নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ড পরিবর্তিত হয়েছে। কে এই স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে এবং কিভাবে স্ট্যান্ডার্ড তৈরী হয় তা পরবর্তীতে কোন এক পোস্টে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
এখন চিন্তার বিষয়, মোবাইল নেটওয়ার্কের ইতিহাসে ১জি, ২জি, ৩জি, ৪জি এর মতো শুধুমাত্র আরেকটি ‘জি’ যুক্ত হয়ে ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক হলো ? উত্তর হচ্ছে না, এটি শুধুমাত্র একটি অতিরিক্ত ‘জি’ নয়। ৫জি শুধু মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে গুণগত মান নিশ্চিত করে কথা বলা বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ৫জি’র রয়েছে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্ষেত্র। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পবিপ্লব ৪.০ অর্জন করা সম্বব।
৫জি এয়ার ইন্টারফেসের (Air Interface) নাম NR বা New Radio (5G NR)
নিম্নে সকল প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উল্লেখ করা হলোঃ
প্রজন্মের নাম | নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি |
---|---|
5G= Fifth Generation | New Radio (NR) |
4G= Fourth Generation | Long Term Evolution (LTE) |
3G= Third Generation | UMTS, CDMA2000, TD-SCDMA |
2G= Second Generation | GSM, D-AMPS, IS-95 |
1G= First Generation | AMPS, NMT, TACS, C-Netz |